২০১১ সালে পি জি আই, চণ্ডীগড়-এ এক আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সন্মেলনে হিমাচল প্রদেশের গভর্নর “শ্রেষ্ঠ পেইন ক্লিনিক” এর মানপত্র ও স্মারক দরদিয়ার কর্ণধার -এর হাতে তুলে দেন।
২। ব্যথা চিকিৎসার উৎকর্ষ কেন্দ্রঃ
“ওয়ার্ল্ড ইন্সিটিউট অফ পেইন” ২০১১ সালে দরদিয়াকে উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসাবে সন্মানিত করে তিনটি বিভাগে, ১) আন্তর্জাতিক মানের ব্যথা চিকিৎসা, ২) ব্যথা চিকিৎসায় মৌলিক গবেষণা, এবং ৩) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ব্যথা চিকিৎসায় প্রশিক্ষণ দেওয়া। আমরা গর্বিত যে, এশিয়ায় আমরা সর্বপ্রথম এই সন্মান লাভ করি।
৩। ব্যথা চিকিৎসায় চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণঃ
সারা পৃথিবী থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এখানে ব্যথা চিকিৎসায় প্রশিক্ষণ নিতে এসেছেন। ভারতবর্ষের প্রায় সমস্ত নামী হাঁসপাতালের পেইন ক্লিনিক পরিচালনা করেন দরদিয়ায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা। সারা বছর জুড়েই এখানে ফেলোশিপ এবং কর্মশালা পরিচালনা করা হয়।
৪। একজন চিকিৎসক নয়, চিকিৎসকের টিম আপনাকে দেখবেনঃ
একাধিক চিকিৎসক প্রথমে আপনাকে দেখবেন, আপনার পুরানো চিকিৎসার সমস্ত তথ্য আপলোড করবেন, তারপর সবাই মিলে আপনার চিকিৎসা নিয়ে মীটিং করবেন, তারপর কম্পিউটার -এর মাধ্যমে আপনার প্রেসক্রিপশন তৈরি হবে। প্রেসক্রিপশন হারিয়ে ফেললেও ভয় নেই, সব কিছু কম্পিউটার -এ তোলা থাকে।
৫। শুধু চিকিৎসা নয়, ব্যথা চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা, বই ও জার্নাল প্রকাশনা
দরদিয়ার কর্ণধার ডাঃ গৌতম দাস ব্যথা চিকিৎসার ওপর ৫টি জনপ্রিয় বই লিখেছেন, তার মধ্যে “Clinical methods in pain management” বইটি সারা বিশ্বে সর্বাধিক জনপ্রিয়। বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করছেন মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী কেশরিনাথ ত্রিপাঠী।
বিদেশী রোগীরা সারা পৃথিবী থেকেই এখানে আসেন ব্যথা চিকিৎসার জন্য। দরদিয়ায় ব্যথা চিকিৎসার খরচ যে কোন নামী হাসপাতালের তুলনায় অনেকগুণ কম। আমাদের ২০-৩০% রোগী ভারতবর্ষের বাইরে থেকে আসেন, এদের বিশেষ যত্নের জন্য অতিরিক্ত স্টাফ নিয়োগ করা আছে। এদের চিকিৎসার খরচ ভারতীয় নাগরিকদের সমতুল্য। প্রায় সব নামী হাসপাতালেই বিদেশী রোগীদের থেকে যে অতিরিক্ত মূল্য নেওয়া হয়, এখানে তা নেওয়া হয় না।